,

বাহুবলে ডাকাত দলের সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ [গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ১ ডাকাত আটক ॥ আহত ১০]

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে ডাকাতদলের সাথে পুলিশের বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ধর্ষ ডাকাত লুৎফুর রহমান (৩০) কে আটক করা হয়। সে ওই গ্রামের ডাকাত সর্দার মঙ্গলা মিয়া ওরপে সালাম মিয়ার পুত্র। গতকাল বুধবার বিকাল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডাকাত লুৎফুর রহমানের বাড়িতে বসে ডাকাতদল রাতে ডাকাতির পরামর্শ করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে এসআই সোহেল মাহমুদ, এএসআই আলী হোসেনসহ ১০/১৫ জনের একদল পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশের উপর গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশের সাথে ডাকাতদলের সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে ডাকাত পরিবারের মহিলারাও ফিকল ও রামদা নিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে আসে। খবর পেয়ে বাহুবল থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত লুৎফুরকে আটক করা হয়। তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া এসআই সোহেল মাহমুদ, এএসআই আলী হোসেনসহ ৫ কনস্টেবল আহত হন। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ব্যাপারে বাহুবল থানার ওসি (তদন্ত) বিশ্বজিৎ দেব জানান, ডাকাতদের ধরতে গেলে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাতের বউ ও বোন ফিকল দিয়ে এসআই সোহেল ও এএসআই আলী হোসেনকে আঘাত করে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও তারা আহত হয়। ডাকাত লুৎফুরের বিরুদ্ধে ডাকাতি ছাড়াও, খুন, নারী নির্যাতনসহ থানায় এক ডজন মামলা রয়েছে। এতদিন সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ডাকাতি করে আসছিল। অপর দিকে রাত সাড়ে ৯ টায় সদর হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন ডাকাত লুৎফুরের ছবি তোলতে হলে সে আক্ষেপ করে জানায়, বছর খানেক আগে সে ডাকাতি ছেড়ে ভাল হয়ে গেছে এবং বিয়ে করেছে। তার একটি সন্তানও রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর